রপ্তানিই চামড়া বিপর্যয় ঠেকানোর একমাত্র সমাধান -মাও. নেজামী

ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী বলেছেন, রপ্তানির ওপর বহাল নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে উদ্বৃত্ত কাঁচা চামড়া (ওয়েট ব্লু) রপ্তানিই চামড়ার ক্ষেত্রে সৃষ্ট ঐতিহাসিক বিপর্যয় ঠেকানোর একমাত্র সমাধান। তিনি বলেন, কাঁচাচামড়া রপ্তানির ফলে অতিরিক্ত চামড়া পাচার বন্ধ হবে। ট্যানারি মালিকদের একচেটিয়া আধিপত্য থেকে চামড়া খাত রক্ষা পাবে। চামড়া ব্যবসায় প্রতিযোগিতার পথ প্রশস্ত হবে। প্রান্তিক উৎপাদনকারি ও ব্যবসায়ীরা চামড়ার প্রকৃত মূল্য পাবে। দেশ এই খাত থেকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সক্ষম হবে। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে চামড়া রপ্তানির ক্ষেত্রে পরিমিতিবোধ থাকা চাই।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, কোরবানির চামড়া বিক্রি করা অর্থ এতিমখানা, মাদ্রাসা এবং দরদ্রি জনগোষ্ঠী পাবে । মৌসুমি ব্যবসায়ীদেরও আয় হবে তাছাড়া বাকিতে সংগৃহিত চামড়ার মূল্য পরিশোধে ট্যানারি মালিকদের গড়িমসি বন্ধ হবে। কেননা ট্যানারিতে বাকিতে বিক্রিত চামড়ার মূল্য না পেয়ে ইতোমধ্যে বহু কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী পথে বসতে বাধ্য হয়েছে।
তিনি বিবৃতিতে আরো বলেন, দেশে চামড়ার উৎপাদন ও ট্যানারিতে ব্যবহারের প্রকৃত চাহিদার সঠিক পরিসংখ্যান সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।এ ক্ষেত্রে উদাসিনতা ও অদূরদর্শিতার কারণেই চামড়া খাতে এবার ঐতিহাসিক বিপর্যয় ঘটেছে। তিনি বলেন, মার্কেট মণিটর করা ও সরকারি ব্যবস্থাপনায় চামড়ার দরে ভারসাম্য আনার জন্যে ব্যব¯া’ থাকা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। অন্যথায় চামড়ার বাজার দর ব্যবস্থা কতিপয় একচেটিয়া মুনাফাখোর ব্যবসায়ীদের কর্তৃত্বে চলে যাবে এবং চামড়ার দরে এধরনের অপ্রত্যাশিত ও অনাকাংখিত বিপত্তি ঘটবে। তিনি বলেন চামড়ার ক্ষেত্রে এধরনের প্রকট চিত্র আর দেখা যায়নি।
বার্তা প্রেরক – মাওলানা মিজানুর রহমান, প্রচার সম্পাদক