‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ দেশে নতুন করে সঙ্কট সৃষ্টি করবে –পীর সাহেব চরমোনাই

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ খসড়া অনুমোদনের মাধ্যমে স্বাধীন গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা হুমকির মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। এই আইন মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে হরণ করবে। সাংবাদিকদের হাত-পা বাঁধার জন্য এ আইনই যথেষ্ট। এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই আরও বলেন, এই আইন পাস হলে সাংবাদিকরা তথ্য পাবে না, আর তথ্য পেলেও মামলার ভয়ে তা প্রকাশ করতে পারবে না। যার কারণে দেশবাসী প্রকৃত সংবাদ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে। প্রস্তাবিত এই আইন দেশ এবং জাতিকে গভীর সঙ্কটের দিকে ঠেলে দেবে। ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ আইনের সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণির অন্যায়কারী এবং স্বার্থন্বেষী মহল নিজেদের হীন স্বার্থে আর সুবিধা আদায় করবে। মানহানির অজুহাতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করে অবাধ তথ্য প্রবাহের ধারাকে বাধা গ্রস্থ করবে। আর এই আইন এদের হাতে সে অস্ত্র তুলে দেবে।  বাক-স্বাধীনতা হরণের এই কালো আইন অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। পৃথিবীর কোনো দেশেই আইন করে সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ করা সুখকর হয়নি। তাই বাংলাদেশেও এই আইন সুখকর হবে না। সাংবাদিকদের গতিবিধির ওপর এই আইন প্রচ্ছন্ন নিয়ন্ত্রণ যা স্বাধীন মতপ্রকাশের অন্তরায়। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে দেশে কোন ধরণের সঙ্কট থাকবে না। সকলেই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সবধরণের সুবিধা ভোগ করতে পারবে। এখন যত সঙ্কট ইসলাম প্রতিষ্ঠিত না থাকায়। তাই সকলকে ইসলমের সুমহান আদর্শে ফিরে আসতে হবে।
প্রস্তাবিত আইনের ৩২ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি বেআইনি প্রবেশের মাধ্যমে কোনো সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে কোনো ধরনের গোপনীয় বা অতিগোপনীয় তথ্য-উপাত্ত কম্পিউটার, ডিজিটাল ডিভাইস, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা ডিজিটাল নেটওয়ার্ক অন্য কোনো ইলেকট্রনিক মাধ্যমে গোপনে ধারণ, প্রেরণ বা সংরক্ষণ করেন বা করতে সহায়তা করেন তাহলে তা গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধ বলে গণ্য হবে। এর জন্য ১৪ বছরের জেল ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডের বিধান রাখা হয়েছে।’ যা সভ্য সমাজের জন্য মারাত্মক হুমকি। আমরা অবিলম্বে এই গণবিরোধী এবং বাক স্বাধীনতা বিরোধী আইনের প্রত্যাহার চাই। একই সাথে তিনি অতীতে ৫৭ ধারায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যে সব মামলা হয়েছিল তা নিঃশর্তে  প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।