নিউইয়র্কে অ্যান্টিবডি টেস্ট কর্মসূচি: মানব সেবায় ফোবানার অনন্য দৃষ্টান্ত

আগামী ২৬ জুন জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের সামনে ফোবানার তৃতীয় অ্যান্টিবডি টেস্ট কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দফায় তারা ব্রুকলিনে অ্যান্টিবডি টেস্ট সমাপ্ত করে দ্বিতীয় দফায় জ্যাকসন হাইটস এলাকায় এই কর্মসূচি পালন করেন। ব্রুকলিনে অ্যান্টিবডি টেস্ট অনুষ্ঠিত হয় গত ৫ জুন। দ্বিতীয় কোভিড-১৯ ও অ্যান্টিবডি টেস্ট গত ১২ জুন জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয়।করোনাভাইরাসের ক্রান্তিকালে নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কমিউনিটি যখন হতাশাগ্রস্ত ছিল, তখন থেকেই পাশে দাঁড়িয়েছে ফোবানা। ফোবানার কর্মকর্তারা শুরু থেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিপদগ্রস্ত বাংলাদেশি কমিউনিটির সেবায় নিজেদের আত্মনিয়োগ করেন। প্রথমদিকে তারা ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করলেও সম্প্রতি তারা বাংলাদেশি অধ্যুষিত বিভিন্ন এলাকায় অ্যান্টিবডি টেস্ট শুরু করেছেন।

ফোবানার অ্যান্টিবডি টেস্ট কর্মসূচি

ব্রুকলিনের অ্যান্টিবডি টেস্ট কর্মসূচিতে ৪ শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। আবার অনেক মানুষ টেস্ট করতে এসেও টেস্ট নাকরে ফিরে যান। কারণ ডাক্তাররা নির্দিষ্ট একটি সময়ের জন্য এসেছিলেন। দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ৫টার পর টেস্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। যে কারণে অনেকেই টেস্ট নাকরে ফিরে যেতে বাধ্য হন। কাজী আজম ও ফিরোজ আহমেদ জানান, ৫টায় অ্যান্টিবডি টেস্ট কর্মসূচি বন্ধ করলেও তাদের প্রায় রাত ৮টা পর্যন্ত থাকতে হয়। তারা বলেন, মানুষের সেবা করতে পেরে তাদের নিজেদের কাছেই ভালো লাগছে। তারা যদি সবার সহযোগিতা পান, তাহলে এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
যারা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত টেস্ট করতেপারেননি, তাদের কাছে কর্মকর্তারা দুঃখপ্রকাশ করেন। ফোবানার এই কর্মকান্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন অনেক বাংলাদেশি। এ ছাড়া ফোবানার কর্মকর্তারা বাংলাদেশের মানুষের সেবায় ডা. জাফরুল্লাহর তহবিলে আড়াই হাজার ডলার দান করেছেন।
দ্বিতীয় কোভিড-১৯ ও অ্যান্টিবডি টেস্ট জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় দুপুর ১২টায় উদ্বোধন করা হয়। শুরু থেকেই ছিল লম্বা লাইন। বাংলাদেশি ছাড়াও ভিনদেশিরা এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। এই ইভেন্টে ফোবানাকে সহযোগিতা করে বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) এবং হেল্প চিটাগোনিয়ান।

ফোবানার অ্যান্টিবডি টেস্ট কর্মসূচি ২

ফোবানার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন খান, কনভেনর শাহ নেওয়াজ, চিফ কো-অর্ডিনেটর গিয়াস আহমেদ, ফাইন্যান্স ডিরেক্টর নিশান রাহিম, কালচারাল ডিরেক্টর রানু নেওয়াজসহ অন্য কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক এই কর্মসূচির তদারক করেন।
পুরো ইভেন্টের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ফোবানার সেক্রেটারি কাজী আজম ও মেম্বার সেক্রেটারি ফিরোজ আহমেদ। আরো উপস্থিত ছিলেন বাপার প্রেসিডেন্ট ক্যাপ্টেন কারাম চৌধুরী, ভাইস প্রেসিডেন্ট এরশাদ সিদ্দিক, সেক্রেটারি প্রিন্স আলম, সার্জেন্ট এনায়েত আলীসহ বাপার অন্য কর্মকর্তারা। সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করেন হেল্প চিটাগোনিয়ানের পক্ষে মাকসুদুল হক চৌধুরী, মীর কাদের রাসেল, নাজের হোসেন, আরিফ চৌধুরীসহ অন্য কর্মকর্তা।
কমিউনিটি নেতাদের মধ্যে বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ জিল্লুর রহমান জিল্লু, অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, বাংলাদেশ সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রাহীম হাওলাদার, সাবেক কর্মকর্তা ফারুক হোসেন মজুমদার, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী জাকির এইচ চৌধুরী, আবুসাঈদ আহমেদ, মামুনুল হক, মঈনুদ্দিন নাসের, শোটাইমের প্রেসিডেন্ট আলমগীর খান আলম, জেবিবিএর ডিরেক্টর ফাহাদ সোলাইমান, সোসাইটির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আহসান হাবিব, রফিকুল ইসলাম, আবুল কালাম, মুরসালীন হোসাইন, শাহাদাত হোসাইন রাজু, জীবন শফিক, মীর মশিউর রহমানসহ আরো অনেক নেতা উপস্থিত হয়ে উৎসাহ ও সহযোগিতা প্রদান করেন।