সোহেল মাহমুদ সাগর
ফেসবুকের অলীক নাম মহাসাদাখাতায় বছরব্যাপি (নভেম্বর ২০১৬-১৭খ্রি.) লেখক নিজের ওয়ালে সেঁটে দেয়া ১০৩টি প্রবন্ধের সংকলনে তৈরি থিয়োসফি গ্রন্থখানি। গ্রন্থটির নামকরণে গবেষণালব্ধ জ্ঞান লেখককে যারপরনাই প্রভাবিত করেছে। এই মহাবিশ্ব মূলত উদ্ভিদ ও প্রাণীজগৎ নিয়েই সৃষ্ট। আর উদ্ভিদ ও প্রাণী পরস্পরকে কার্বন ও অক্সিজেন সরবরাহ ও খাদ্য যোগানে নিয়ত কাজ করছে। কিন্তু আজকের পরিবেশ প্রতিবেশে মানুষ পরস্পরের মাঝে কেবল স্বার্থের হানাহানি বিরাজমান। কারণ মূলত চক্ষুকর্ণ কিংবা ইন্দ্রিয়ের দ্বারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে মানুষজনের বসবাস। তাতে সঠিকের চেয়ে বেঠিক সিদ্ধান্তের ডামাডোল সবসময়ে। বস্তুত প্রকৃতির (প্রাণী-উদ্ভিদ জীবসত্ত্বার মধ্যেকার খাদ্য গ্রহণ, সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার) ভারসাম্য রক্ষা হচ্ছে না। বিদ্যানিধিদের মতে, ‘চক্ষুকর্ণ কিংবা ইন্দ্রিয়ের অগোচরে যে জ্ঞান তাইতো দিব্যজ্ঞান অতীন্দ্রিয় জ্ঞান বা থিয়োসফি’। তয় এই জ্ঞান মানুষ মাত্রই নিজের মধ্যে সুপ্ত অবস্থায় বিরাজমান থাকে, যা নিত্য জানাশোনায় চর্চা করার মাধ্যমেই কেবল প্রকৃতি নামক জগৎ অর্থাৎ জীবাত্মা এবং পরমাত্মার সান্নিধ্য লাভসহ জগৎসংসারের কাজে সঠিকতায় উপনীত হওয়া সহজবোধ্য ও সহজসাধ্য হয়। লেখকের গবেষণা কর্মের বিষয়বস্তু ‘অ্যানথ্রোপোসফিক্যাল মেডিসিন’। এটি কোনো বীমা, ওষুধ কোম্পানি কিংবা চিকিৎসা প্রযুক্তি নির্মাণ কারখানার মালিকদের কাজ নয়। প্রচলিত চিকিৎসাব্যবস্থার নানা ভ্রান্ত দিক তুলে ধরে তিনি প্রকৃতিজ উৎসের বিশেষত উদ্ভিদ, তৃণলতা, পল্লব, ছাল-বাকল, মূল-শিকড়, ফুল, ফল এবং শস্যদানা সরাসরি খাদ্য হিসেবে গ্রহণের প্রতি জোর দিয়েছেন।
অধিকন্তু বইয়ের মলাট বা প্রচ্ছদ নিয়ে ভাবনাচিন্তায় এর সম্মুখ ভাগে উদীয়মান সূর্যের দীপ্ত লাল আভাযুক্ত ছবি, মানব-মানবীর সম্মিলিত মুখাবয়বে ‘থিয়োসফি’ অক্ষরগুলো দিয়ে বিমূর্ত ছবি, পাতাভর্তি শজনে গাছের সবুজাভ রং ও ভরা যৌবনের ছবি, ঝিরঝিরে হাওয়া প্রবাহযুক্ত স্রোতস্বিনী নদী ও নদীমাতৃক গ্রামের ছবি, মেঘমুক্ত ফিকে নীল আকাশে সূর্যোদয়ের আগে পুব আকাশে শুকতারার ছবি এবং উদীয়মান সূর্যের দীপ্ত লাল আভায় নীল আকাশ ও শজনে পাতার সবুজাভ রংয়ের সমাহার। আর এর পিছন ভাগে অস্তগামী সূর্যের অনুজ্জ্বল লাল আভাযুক্ত ছবি, পর্বতমালার ভাবমূলক ছবি, পাতা ভর্তি ঘন ডালপালায় চিরহরিৎ তুলসী গাছের ছবি, নির্মল বায়ু প্রবাহিত সমুদ্রতটে জোয়ারের ঢেউযুক্ত সমুদ্রসৈকত ও নুড়ি-পাথরের ছবি, মেঘমুক্ত ফিকে নীলাকাশে সূর্যাস্তের পূর্বে আলো-আঁধারি পশ্চিম আকাশে সন্ধ্যাতারার ছবি, আকাশের নীচের একাংশে নীড়ে ফিরতি এক ঝাঁক পাখির ছবি এবং অস্তগামী সূর্যের অনুজ্জ্বল লাল আভায় নীল আকাশ ও তুলসী পাতার সবুজাভ রংয়ের সমাহার। প্রচ্ছদ নিয়ে লেখকের ভাবনাচিন্তা এখানে উল্লেখের কারণ এই যে, বইয়ের মলাটে উক্ত বিষয়বস্তুগুলোর মিলনে চিত্রায়ণ করার জন্য চারজন চিত্রশিল্পি অপারগতা প্রকাশ করে তাকে ফিরিয়ে দিয়েছে। কেননা আজকের এই ডিজিটাল যুগে সকলেই প্রায় সস্তা, সুলভ ও কম সময়ে বেশি টাকা আয় করার মানসে মোটের ওপর সৃষ্টিশীলতার আপন আপন ধীশক্তিকে ত্যাজ্য করে ইন্টারনেট থেকে পছন্দমাফিক ডিজাইনকে কপি-পেস্ট করে প্রচ্ছদ তৈরির কাজে ব্যতিব্যস্ত রয়েছে। তার বিবেচনায় বইয়ের নামকরণ ও প্রচ্ছদ চিত্রায়ণ এমন হতে হবে যেন ওরাই সমগ্র বইটির প্রতিনিধিত্ব করে কিংবা বইয়ের বিষয়বস্তুর ধ্বনি বইয়ের নামকরণ ও প্রচ্ছদে প্রতিধ্বনিত হয়। অতঃপর বিশেষ কৌশলে ৪নং আর্টিস্ট অর্থাৎ ঢাকার চারুকলা ইনষ্টিটিউট থেকে আর্টে স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী চিত্রশিল্পিকে দিয়ে লেখক তার ভাবনাচিন্তায় থাকা বিষয়বস্তুগুলোর মিলনেই প্রচ্ছদ চিত্রায়ণ করানোর কাজ সম্পন্ন করেন।
০৭.২.২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে শাহবাগস্থ গণ গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত ‘থিয়োসফি’ এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে স্বনামধন্য ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন এবং অন্যান্য অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের পরপরই জাতীয় গ্রন্থমেলা-২০১৮ খ্রি. থিয়োসফি আত্মপ্রকাশ করে। ইতোমধ্যে গ্রন্থমেলা শেষ হলেও ঢাকার শাহবাগস্থ আজিজ সুপার মার্কেটের নিচতলায় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান প্যাপিরাসের বইয়ের দোকানে বছরব্যাপী থিয়োসফি প্রদর্শন ও বিপণনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
অসৎসংঘ ত্যাগ করো, আলস্য দোষের আকর, ইক্ষুর রস অতি মিষ্ট, উর্ধ্ব মুখে পথ চলিও না, ঋষি বাক্য শিরো ধার্য – ‘মা, মাতৃভূমি ও মাতৃভাষা’ এ ত্রিভুজে যুগে যুগে বিদ্যানিধিদের এসব বচন এখন শুধু কথার কথা। স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের আদি কথা ‘বেস্ট ফুড ইজ দ্যা বেস্ট মেডিসিন’ স্মরণ করে গবেষক ও লেখক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, প্রকৃতির আদি সব ব্যবস্থাই মানুষজন আজ প্রায় বিসর্জণ দিয়ে বসে আছে। প্রকৃতিজ শজনে, নিম, তুলসী, পেয়ারা, বেল ও লেবু – এই ছয়টি উদ্ভিদের পুষ্টি ও ভেষজগুণে ভরপুর পাতার ককটেল রস বিগত তিনবছর যাবৎ নিয়মিত সেবন করছেন তিনি। এভাবে বাস্তব অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হয়েছে তার অনেক। আগে নিয়মিত বিরতি দিয়ে চোখ, দাঁতসহ নানা ডাক্তার ও ওষুধের উপর নির্ভর করতে হতো তাকে। কিন্তু এখন কোনো ডাক্তারের কাছে তিনি যান না বা কোনো ওষুধ সেবন করেন না। তয় প্রকৃতিজ এইসব পাতালতা খেয়ে ঢের ভালো আছেন তিনি। গবেষণালব্ধ জ্ঞানের রেশ ধরে তিনি বেশ জোর দিয়েই বলেছেন, পুরানো রোগভোগ তাকে ছেড়ে সেই কবেই পালিয়েছে। নতুন করে কোনো রোগ আর দেহে বাসা বাঁধতে পারবে না। এইসব পাতার রস সেবন, পরিমিত খাদ্যাভ্যাস, সাথে যোগব্যায়াম ও যোগাসন সমন্বয়ে এক প্যাকেজ চর্চা সুস্থ ও নিরাপদ রাখতে তাকে যারপরনাই সাহায্য করছে। বেশি দিন বাঁচা কিংবা মৃত্যুর সাথে আপস করে বেঁচে থাকা তার কাম্য নয়। মৃত্যুকে আলিঙ্গন করার জন্যে তিনি সদা প্রস্তুত। যত দিন বাঁচবেন সুস্থতা নিয়ে বাঁচবেন এটিই তার শক্তি। ধন্বন্তরী ডাক্তার কিংবা চিকিৎসাব্যবস্থা থেকে যথাসম্ভব নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখেই ধরাতে বসবাস করে যাবেন তিনি। উদ্ভিদের গুণাগুণ, রোগভোগ, বিজ্ঞানের আবিষ্কার, রবীন্দ্র-নজরুল-মধুসূদনসহ নানা মনীষীর জীবনচরিত, প্রেম-ভালোবাসা, আধুনিকতার নামে নীতিহীনতা, ভ্রষ্টাচার, তরুণ প্রজন্মের বিছিন্নতা, প্রাত্যহিক জীবনের নানা অভিজ্ঞতার কথা সুখপাঠ্য করে জীবনদর্শনমূলক অনেক বিষয়বস্তুর সংকলনে রচিত গ্রন্থ থিয়োসফি মোড়ক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। গ্রন্থখানি পড়ে এবং বাস্তবে চর্চা করে মানুষজন উপকৃত হবে এমনটাই প্রত্যাশা তার। প্রকৃতি ও প্রকৃতিজ বিষয়বস্তুকে সাথে নিয়ে ‘নিজে বাঁচুন আর জগদবাসীকে বাঁচান’ -এমন প্রত্যয় নিয়ে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান তার। আজকের বাস্তবতায় মানুষজন নিজেদেরকে এসবের চর্চায় ফিরিয়ে আনা খুবই জরুরি। আর এ জন্যে প্রয়োজন সংস্কারের। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে তিনি মানুষজনকে সজাগ করার জন্য বিভিন্ন জেলা উপজেলায় থিয়োসফি গ্রন্থখানির জীবনদর্শনমূলক বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করে বেড়াচ্ছেন।
তয় ভাবতে অবাক লাগে, এখনের পরিবেশ প্রতিবেশে বসবাসকারী মানুষজনের জ্ঞানের পরিধি আটকে আছে শুধুই প্রতীকী জানাশোনায়। নেই তেমন করে সুস্থ জ্ঞান চর্চার কোনো ফুরসৎ। বরং রয়েছে সততই আজীব্য গালগল্প। আর অতি সস্তায় টাকাকড়ি রোজগার করার নামে নিজেকে দিগভ্রম রাখার ব্যস্ততা। যে কারণেই কিনা জানি না, তার গ্রন্থখানির নাম ‘থিয়োসফি’ শুনে নাক ছিটকায়। আর ভাবে এটা কোনো ভিনদেশের তত্ত্বজ্ঞান বা তত্ত্ববিদ্যার কিতাব নয়তো। এ কারণেই সম্ভবত, নিজেদের দূরে কোথাও (কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা মনে মনে! -রবীন্দ্র.) গুটিশুটি করে রাখে। এভাবে প্রকারান্তরে জ্ঞানের প্রকৃতিজ উৎস ও জানাশোনা থেকে নিজেদের আড়াল করে রেখে বোকাদের কাতারে শামিল করার এক পায়চারিতে সদা ব্যস্ত এখনকার সিংহভাগ মানুষ। সুতরাং নিদানপক্ষে মানাবিকতার তাগিদ এবং অনুভবের এক প্রাবল্য থেকে ‘কী আছে থিয়োসফি গ্রন্থখানিতে’ মানুষকে জানানোর অনুকূলে সারসংক্ষেপে আলোচনা করার এক ইচ্ছা নিয়তই তার মননশীলতায় সক্রিয়। আর এও বলার অপেক্ষা রাখে না যে, গ্রন্থখানি প্রকাশের পর থেকে মানুষজনকে অবহিত করণ এবং সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এদেশের নানা প্রান্তে (টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়ায়) ফেরিওয়ালার ন্যায় ঘুরে বেড়িয়ে ধিয়োসফি নিয়ে এক আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে তার জোর প্রচেষ্টা আপন সক্ষমতায় অব্যাহত রেখেছেন। উক্ত প্রচেষ্টারই ধারাবাহিকতায় এযাবৎ মোট পাঁচটি অনুষ্ঠান বা ইভেন্ট তিনি সম্পন্ন করেছেন। গেল ইভেন্টগুলোর সংক্ষিপ্ত ফিরিস্তি এই যে, গবেষক ও লেখক সোহেল মাহমুদ সাগরকে সংবর্ধনা ও শুভেচ্ছা এবং ‘থিয়োসফি’ গ্রন্থ নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান পর্যায়ক্রমে ০৭.৩.২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) উপজেলাস্থ পদক্ষেপ গণপাঠাগারে চুনারুঘাট পৌরসভার মেয়র; ১৬.৩.২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) উপজেলাস্থ আদিবা ফিটনেস জোনে আলিমুদ্দিন ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ; ২৭.৩.২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে পটুয়াখালী জেলাশহরের শের-ই বাংলা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ; ০৭.৪.২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে জলঢাকা (নীলফামারী) উপজেলাস্থ প্রেস ক্লাবে নীলফামারী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এবং ১০.৫.২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে চাটমোহর (পাবনা) উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ উক্ত অনুষ্ঠানগুলোর মঞ্চসমূহে উপবিষ্ট ছিলেন।
উপসংহারে বলা এই, ইদানীংকালে আন্তর্জাতিকভাবে গবেষণার সঙ্গে যুক্ত থ্যাতনামা স্বাস্থ্যবিজ্ঞানীগণ ভিটামিন ও ভেষজ গুণে যুগলবন্দি খাবারের উপর অতিশয় গুরুত্বারোপ করছেন। মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন যে, ‘আজকালকার পাঠকসমাজের ঢের বেশি সংখ্যকের নির্ভরতা কেবলই সস্তা ও নিম্নমানের চটুল বইয়ের উপর। আর লেখক, প্রকাশক ও সাংবাদিকদের বৃহদাংশের নজরও বিশাল এই পাঠকসমাজের দিকেই। এমন বাস্তবতায় স্বভাবতই থিয়োসফি গ্রন্থের লেখক ও গবেষক সোহেল মাহমুদ সাগরের জন্য অশনিসংকেত বয়ে আনবে বইকি।’ জাতীয় গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত গ্রন্থসমূহের বিক্রির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান অতিথি সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেন যে, ‘পাঠক সংখ্যার বিচারে নয়, মানসম্পন্ন ও গুণের বিচারে আমার বিবেচনায় থিয়োসফি পুরস্কার পাওয়ার মতো একটি গ্রন্থ।’ আর লেখকের উক্তি, ‘আমাদের শক্তি ও বুদ্ধির মিলিত কার্যভারই পারে সমাজসংসারের এতোসব জঞ্জাল হটিয়ে দিয়ে বাঙালি জাতিকে বিশ্ব দরবারে এক বিরল সম্মানে ভূষিত করতে। তার সংকলন গ্রন্থ ‘থিয়োসফি’ পড়ে ভবভারের মানুষজন জানতে পারবে বর্তমান টালমাটাল সমাজের স্বরূপ। তদুপরি তার বইটি পড়ে যে কেউ সমাজসংসারের এই টালমাটাল অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলে, ব্যক্তি জীবনে নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে খুঁজে পাবে মুক্তির পথ।’ কাজেকাজেই মানুষজন অন্তত এক কপি থিয়োসফি সংগ্রহ করে তা পঠনে এবং নিজ নিজ পারিবারিক লাইব্রেরিতে সংরক্ষণে মন বসাবে এমনটাই লেখকের একান্ত আশাবাদ।
(সোহেল মাহমুদ সাগর -গবেষক ও লেখক, ১৩ মে ২০১৮।)