প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা কি ভারত সরকারের নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে?

মোঃ আবদুল লতিফ নেজামী
৫ আগষ্ট কাশ্মীরিদের বিশেষ মর্যাদা সম্বলিত ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা এবং ৩৫/এ আইন বাতিল করে কাশ্মীরকে ভারতভুক্তির ঘোষণা দেয়া হয়। এতে জম্মু , কাশ্মীর ও লাদাখ কেন্দ্র শাসিত দু’টি অঞ্চলে বিভক্ত হয়। তারা পৃথক রাজ্যের মর্যাদা হারায়। কাশ্মীরিদের প্রথম কালো দিবস ১৯৪৭ সালের ২৭ অক্টোবর। সেদিন মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশীয় রাজ্য কাশী¥রের হিন্দু রাজা হরিসিং জনগণের মতামত না নিয়েই ভারতে যোগ দেয়। কাশ্মীরিরা সেদিন থেকে প্রতি বছর ২৭ অক্টোবরকে কালো দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। ১৯৪৭ সালের ২৭ অক্টোবরই কাশ্মীর সমস্যার সৃষ্টি হয়। কাশ্মীরের জনগণ গণভোটের দাবিতে সোচ্চার হন। ফলে ভারত একদিকে গণভোটের মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেয় অন্যদিকে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে কাশ্মীরিদের অবদমনের জন্যে জম্মু ও কাশ্মীরে লাখ লাখ সৈন্য মোতায়েন করে নারকীয় তান্ডব চালানো শুরু করে, যা এখনো অব্যাহত আছে। এখন দেখা যাচ্ছে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করাই ভারত সরকারের নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল, গণভোটের মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের ওয়াদা রদ, সিমলা চুক্তির অবমাননা, বাবরী মসজিদ পুনঃনির্মাণের অঙ্গীকার ভঙ্গ এবং ফারাক্কা চুক্তির লঙ্গন তারই প্রকৃষ্ট প্রমাণ।
আগেই বলা হয়েছে, ১৯৪৭ সালে বৃটিশের হাত থেকে স্বাধীন হওয়ার সময় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশীয় রাজ্য কাশী¥রের হিন্দু রাজা হরিসিং জনগণের মতামত না নিয়েই ভারতে যোগ দিলে কাশ্মীরে উত্তপ্ত পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। তখন থেকে ভারত একদিকে গণভোটের মাধ্যমে কাশ্মীর বিরোধ মীমাংসার বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজনৈতিক ধুম্রজাল সৃষ্টি করে। অন্যদিকে স্বাধীনতাকামী কাশ্মীরিদের দমনের জন্যে কালাকানুন প্রয়োগ করে অঘোষিত যু চালিয়ে আসছে বিগত সাত দশক ধরে। তখন থেকে ভারতীয়দের হত্যা, লুন্ঠন ও সম্ভ্রমহারা মা-বোনের আর্তনাদে ভূ-স্বর্গখ্যাত কাশ্মীর প্রেত রাজ্যে পরিণত হয়। ৫ আগষ্ট কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সম্বলিত ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মীরকে ভারতভুক্তির ঘোষণা দিলে কাশমীরের জনগণ আবারো সোচ্চার হন। এতে কাশ্মীরিদের সাথে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হিং¯্র আচরণ বহুগুন বৃদ্ধি পায়।
পাকিস্তান, ভারত, চীন ও রাশিয়ার মধ্যে অবস্থিত ৮৪ হাজার বর্গমাইল এলাকা নিয়ে কাশ্মীর গঠিত। এর জনসংখ্যা এক কোটির ওপরে। গিলগিত ও বাল্টিস্তানের একটা এলাকা নিয়ে গঠিত পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আযাদ কাশ্মীর। রাজধানী মুজাফ্ফরাবাদ। ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য। চীন কাশ্মীরের বাল্টিস্তানের একটা এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে।
অধকিৃত জম্মু ও কাশ্মীররে বশিষে মর্যাদা সম্বলিত ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা ও ৩৫/এ, আইন বাতলি শুধু কাশ্মীরিদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা নয় বরং গণভোটরে মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানরে জন্য ভারতরে প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরেলাল নেহরুর প্রদত্ত বার বার প্রতশ্রিতরি ও বরখেলাপ। তাছাড়া কাশ্মীর সম্পর্কে জাতসিংঘ নরিাপত্তা পরষিদও সাধারণ পরষিদে গৃহতি প্রস্তাবের ও মারাত্মক লঙ্গন। এসব প্রস্তাবে গণভোটরে মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানরে জন্য বলা হয়েছিল। গণভোটের মাধ্যমে কাশ্মীর বিরোধ মীমাংসার জন্য বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও আজ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করার গরজ বোধ করছেনা ভারত। এতে নিঃসন্দেহে প্রমাণীত হয়েছে, চুক্তি ও প্রতশ্রিুতি ভঙ্গ করা ভারত সরকারের নীতি হয়ে দাঁড়য়িছে।ে
ক্রমানুসারে গণভোটের মাধ্যমে কাশ্মীর বিরোধ মিমাংসার জন্যে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহেরলাল নেহরুর বিভিন্ন সময়ে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি কতিপয় তথ্যঃ
১৯৪৭ সালের ২৭ অক্টোবর কাশ্মীরকে ভারতভুক্তির ঘোষণা দিলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। তখন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহেরলাল নেহরু ১৯৪৭ সনের ২৭অক্টোবর পাকিস্তানের তদানিন্তন প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান ও বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো তারবার্তায় গণভোটের মাধ্যমে কাশ্মীর বিরোধ মিমাংসার প্রতিশ্রুতি দেন। একই সনের ২৮ ও ৩১ অক্টোবর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো তারবার্তায়, ২রা নভেম্বর অল ইন্ডিয়া রেডিওতে জাতির উদ্দেশ্যে প্রদত্ত বেতার ভাষণে, পাক প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৮ নভেম্বর তারবার্তা ও ২১নভেম্বর এক পত্রে এবং ২৫ নভেম্বর ভারতীয় গপরিষদে প্রদত্ত বিবৃতিতে আবারও একই প্রতিশ্রুতির পুনরুল্লেখ করেন নেহরু;
১৯৫০ সনের ১৬ আগষ্ট জাতিসংঘে নিযুক্ত পাক-ভারত প্রতিনিধিদ্বয়ের কাছে তারবার্তায় এব্যাপারে স্পষ্টোক্তি করেন তিনি; ১৯৫১সনের ১৬ জানুয়ারী লন্ডনে সংবাদ সম্মেলনে, ১২ ফেব্রুয়ারী ভারতীয় সংসদে ভাষণে, ৬ জুলাই অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটিতে উত্থাপিত প্রতিবেদনে ও ৯ জুলাই নতুন দিল্লীতে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে জওহেরলাল নেহরু গণভোটের মাধ্যমে কাশ্মীর বিরোধ মিমাংসার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন ;
১৯৫২ সনের ২ জানুয়ারী কোলকাতার অমৃত বাজার পত্রিকায় সাক্ষাতকারে, ২৬ জুন ও ৭আগষ্ট ভারতীয় সংসদে ভাষণে ফের একই ওয়াদা করেন নেহরু; ১৯৫৩ সনের ১ মে’র ষ্ট্যাটসমেন্ট পত্রিকার খবর, ২০ আগষ্ট দিল্লিতে পাক-ভারত প্রধানমন্ত্রীর যুক্ত ইশতেহারে; ১৯৫৪সনের ১৮ মে ভারতের রাষ্ট্রীয় পরিষদে বিবৃতি; ১৯৫৫ সনের ৩১ মার্চ ভারতীয় পার্লামেন্টে প্রদত্ত ভাষণে গণভোটের মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন পন্ডিত জওহেরলাল নেহরু। তাছাড়া গণভোটের মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের জন্যে জাতিসংঘ নিরাপত্ত পরিষদ (৫ জানুয়ারি, ১৯৪৯) ও সাধারণ পরিষদ বিভিন্ন সময়ে প্রস্তাব গ্রহণ করে।
১৯৭২ সনের ২ জুলাই স্বাক্ষরিত সিমলা চুক্তিও অগ্রাহ্য করে ভারত।
১৯৯২ সনের ৬ ডিসেম্বর উগ্র জাতীয়তাবাদী হিন্দুরা অযোধ্যায় চার শ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক বাবরী মসজিদ ধ্বংস করলে ভারতের তদানিন্তন প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাও মসজিদটি পুননির্মাণের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। কিন্তু বাবরী মসজিদ আজ পর্যন্ত পুননির্মাণ দূরের কথা, বরং মসজিদের ওপর রাম মন্দির নির্মাণের পাঁয়তারা চালানো হচ্ছে।
চুক্তি লঙ্গনের আরো নজির ফারাক্কা চুক্তি ও যৌথ নদী কমিশন। ভারত ফারাক্কা চুক্তি মোতাবেক বাংলাদেশকে পানির ন্যায্য হিস্যা দিচ্ছেনা। অথচ ফারাক্কার উজানে কানপুর, কাশি, হরিদ্বার ও পাটনায় ছোট-বড় বহু ড্যাম, পানিবিদ্যূৎ কেন্দ্র, জলাধার নির্মাণ ও শত শত মাইল খাল খননের মাধ্যমে গঙ্গার পানির স্বাভাবিক প্রবাহকে অবরুদ্ধ করে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে উষর-ধূষর প্রাণহীন করে চলেছে।
১৯৯৬ সনের যৌথ নদী কমিশনের শর্ত মেতাবেক বাংলদেশের সাথে আলোচনা না করে নদী সংক্রান্ত কোন পদক্ষেপ নেয়া হবে না বলে দেয়া প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও ৫৪টি অভিন্ন নদীর মধ্যে ভারত গঙ্গাও তিস্তাসহ ইতোমধ্যে দু’দেশের মধ্যে প্রবাহিত ৩৮টি অভিন্ন নদীর পানির স্বাভাবিক প্রবাহকে অবরুদ্ধ করে বাংলাদেশকে মরুভ’মিতে পরিনত করছে। ফলে শুষ্ক মওসুমে পানির অভাবে বাংলাদেশের হাওর, বিল, নীচু জলাভ’মী শুকিয়ে যাচ্ছে এবং এ কারণে কৃষি, মাছ, খাবার পানি, নৌ চলাচল ইত্যাদি দারুণভাবে ক্ষুন্ন হওয়া শুরু হয়েছে, জীব-বৈচিত্র ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এবং পরিবেশ তার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে। ফলে ফারাক্কা ও তিস্তা বাঁধ নির্মাণের ফলে গঙ্গা অববাহিকার নদ-নদীসমূহ যেমন শুকিয়ে যাচ্ছে, তেমনি টিপাইমূখ পানি বিদ্যূৎ উৎপাদন বাঁধ নির্মিত হলে শুকিয়ে যাবে মেঘনা, কুশিয়ারা, সুরমা ইত্যাদি প্রধান নদী। তাছাড়া মনু, বাউলাই, তিতাস, গোমতি প্রভৃতি শাখা নদীও মরে যাবে। কর্ণফুলী নদীর পানি প্রবাহ ও হ্রাস পেয়ে শুকিয়ে যাবে কাসালং, ফেনী, হালদা, বোয়ালখালী পূর্বাঞ্চলীয় নদী সমূহ। ফলে নদীর নব্যতা হ্রাস পেয়ে চট্রগ্রাম, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, ভৈরব ও নরসিংদি নদী বন্দরসমূহ শেষ হয়ে যাবে। বাঁধের কারণে টিপাইমূখ এলাকায় ভ’মিকম্প ত্বরান্বিত হবে।
ভারত একদিকে গণভোটের মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের ওয়াদা ভঙ্গ, অন্য দিকে কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী জনগণের লড়াই অবদমনের জন্যে কাশ্মীরে নিবর্তনমূলক আইন বলবৎ করে। যা (ঞযব ইষধপশ খধংি ড়ভ ওহফরধ) কালা আইন হিসেবে বহুল পরিচিত। এসব আইনের মধ্যে রয়েছে অৎসবফ ঋড়ৎপবং (ঝঢ়বপরধষ চড়বিৎং) অপঃ, সশস্ত্র বাহনিী (বশিষে ক্ষমতা) আইন, ঔধসসঁ ্ কধংযসরৎ চঁনষরপ ঝধভবঃু অপঃ (চঝঅ), জম্মু ও কাশ্মীর জননরিাপত্তা আইন (পএিসএ), ঞবৎৎড়ৎরংস ্ উরংৎঁঢ়ঃরাব অপঃরারঃরবং (চৎবাবহঃরড়হ) অপঃ (ঞঅউঅ) সন্ত্রাসবাদ ও বশিৃঙ্খলামূলক র্কমকাণ্ড (প্রতরিোধ) আইন (টাডা), ঔঁসসঁ ্ কধংযসরৎ উরংঃঁৎনবফ অৎবধং অপঃ জম্মু ও কাশ্মীর বডি়ম্বতি অঞ্চল আইন এবং ঞযব চৎবাবহঃরড়হ ড়ভ ঞবৎৎড়ৎরংস ঙৎফরহধহপব, ২০০১ (চঙঞঙ) এবং সন্ত্রাসবাদ প্রতরিোধ অধ্যাদশে (পোটো) প্রভৃতি।
এসব কালাকানুন বাস্তবায়নের জন্যে ভারত জম্মু ও কাশ্মীরে বিপুল সংখ্যক সৈন্য ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করে। কাশ্মীর এখন পৃথিবীর সর্বাধিক সৈন্য কবলিত এলাকা। প্রতি ৬ জন কাশ্মীরির জন্যে একজন ভারতীয় সৈন্য রয়েছে। নিয়মিত ৬ লাখ ও অনিয়মিত এক লাখ মিলে কাশ্মীরকে পদানত করে রাখার জন্যে ভারত প্রায় ৭ লাখ সৈন্য মোতায়েন করে রেখেছে। কাশ্মীরের মুসলমানদের এখন বিপর্যয়কর অবস্থা।
কাশ্মীর উপত্যকা জুড়ে সমস্ত পুরুষ, মহিলা এবং শিশুরা সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। কারণ ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরে প্রতিটি দিন কারফিউ, গুম, হত্যা, ধর্ষণ, আটক, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট প্রভৃতি নিয়মিত ঘটণা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাশ্মীরেরর সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সাথে ভারতের দখলদার কর্তৃপক্ষ ও বাহিনী ধারাবাহিকভাবে এবং নিয়মিতভাবে অমানবিক আচরণ করে চলেছে। বর্বরতা কি রকম নখদন্ত বিকাশ করে বিভীষিকা বিস্তার করতে উদ্যত। কাশ্মীরে সেনাবাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতন মানবতার অপমানে কাশ্মীরের বাতাস কলুষিত করা তারই প্রমাণ।।
কাশ্মীর সমস্যা যে কোনও রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়, যা প্রায়শই ভারত সরকার কাশ্মীরকে নিজেদের অভ্যন্তরীণ বলে উল্লেখ করে থাকেন। জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যটি একটি বিতর্কিত অঞ্চল। এটি স্পষ্টতই একটি আন্তঃরাষ্ট্রীয় বিরোধ যা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে বলা হয়েছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবসমূহ কার্যকর করার জন্য অর্থবহ পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন, কাশ্মীরি জনগণ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হওয়ার আগেই।
(লেখকঃ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি। মতামত লেখকের নিজের।)