বায়ুমন্ডলে কার্বন নিঃসরণ কমানোর দাবিতে অবস্থান কর্মসূচী

জলবায়ুর বিপর্যয়ের ক্ষতিকর প্রভাব এখন শুধু কোনো দেশ বা জনগোষ্ঠীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। মাত্রারিক্ত কার্বণ নিঃসরণের ফলে পৃথিবীর অস্তিত্ব আজ হুমকির মুখে। উচ্চ কার্বন নিঃসরনকারী দেশগুলোর বায়ুমন্ডলে কার্বণ নিঃসরণের মাত্রা কমানোর ব্যর্থতার প্রতিবাদে ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, পরিবেশ আন্দোলন , সুবন্ধন সামাজিক কল্যান সংগঠন এবং ইনভায়রনমেন্ট ফর চিলড্রেন্স এর যৌথ উদ্যোগে রাজধানীর ঐতিহাসিক লালবাগের কেল্লার সামনে অবস্থান কর্মসূচী আয়োজন করা হয়।অবস্থান কর্মসূচীতে অংশগ্রহণকারীরা বলেন সমগ্র পৃথিবী জলবায়ুর বিপর্যয়ে আমরা সংকিত। কথিত উন্নয়নের নেশায় উন্নত বিশ্বের নেতৃবৃন্দ আজ অন্ধ হয়ে গেছে। পৃথিবী জুড়ে জলবায়ুর বিপর্যয় রুখতে বায়ুমন্ডলে কার্বণের নির্গমনের মাত্রা কমানো দরকার হলেও, বিগত কয়েক বছরের বায়ুমন্ডলে আশানুরূপ কার্বণের মাত্রা কমাতে তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বার বার। ফলে পৃথিবী জুড়ে জলবায়ু বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে।
এ বিপর্যয় রুখতে বায়ুমন্ডলে কার্বণ নিঃসরনের মাত্রা কমাতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এখন আমাদের দাবী একটাই বায়ুমন্ডলে কার্বণ নিঃসরনের মাত্রা কমাও। বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে জলবায়ুর বিপর্যয় স্বীকার করে, এখনই জলবায়ু বিপর্যয় জনিত জরুরী অবস্থা ঘোষণা করতে হবে।
পরিবেশ আন্দোলন এর সভাপতি আমির হাসান মাসুদ এর সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ আন্দোলন মে র সাধারন সম্পাদক জি.এম রোস্তম খান, সুবন্ধন সামাজিক কল্যান সংগঠনের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, সহ-সভাপতি মোঃ ফারুক হোসেন, সাধারন সম্পাদক মোঃ মকবুল হোসেন, ইনভাইরনমেন্ট ফর চিলড্রেনস্ এর সভাপতি (প্রজাপতি গবেষক) শিল্পী খসরু আহমেদ, সদস্য মাহবুব মর্তুজা টুটুল, ঢাকার শেকড়ের এডমিন মোতালেব মাশরাকি, সুবন্ধনের সহ-সাধারন সম্পাদক মহসীন হোসেন, পরিবেশ আন্দোলন এর সদস্য মোঃ নাসির হোসেন প্রমূখ।
বক্তার আরো বলেন, জলবায়ু বিপর্যয়ের ক্ষতি অর্থ দিয়ে সমাধান করা যাবে না। এর জন্য প্রয়োজন কার্বন নিঃসরনের হার কমানো। ‘ঢাকার শেকড় ‘ এডমিন মোতালেব মাশরাকী বলেন জল বায়ু রক্ষার্থে গাছের কোনো বিকল্প নেই তাই সবাই বেশী বেশী গাছ লাগাই , ছাদ বাগান ও বেলকনি বাগান করি কারন এক একটা ছাদ বাগান এক একটা অক্সিজেন ভান্ডার। আমরা চাই যে সকল দেশ অধিক কার্বন নিঃসরন করছে, তারা তা কমিয়ে নিয়ে আসবে। এখনই যদি মাত্রারিক্ত কার্বন নিঃসরনকারী দেশগুলোকে তাদের কার্বণের মাত্রা কমাতে বাধ্য না করি তবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ পৃথিবী রেখে যেতে পারব না। – প্রেস বিজ্ঞপ্তি