শপিং-এ যেয়ে দোকানে প্রবেশের পূর্বে দেখে নিন–

এম জাহিদুল হক
করোনাভাইরাস কিন্তু আমাদের ছেড়ে যায়নি; কবে যাবে বা আদৌ ছেড়ে যাবে কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছ। তাই করোনাভাইরাসকে নিয়েই জীবন সচল ও সক্রিয় করতে হবে। এ প্রেক্ষাপটেই বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশের মত বাংলাদেশও খুলে দেওয়া হয়েছে দোকান-পাট, যান-বাহন– এক কথায় সীমিত ভাবে সকল কর্মতৎপরতা । প্রশ্ন হচ্ছে, বর্তমান করোনার এই মহামারি চলাকালীন সময়ে আমরা কি ভাবে নিজেদেরকে বিপদমুক্ত রেখে স্বাভাবিক কাজ-কর্মের মাধ্যমে জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাবো?এ পর্যায়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বাংলাদেশ সরকারও কতিপয় নির্দেশনা জারি করেছেন। এসবের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায়, সাবান দিয়ে বারংবার হাত ধোয়া এবং মাস্ক পরিধান উল্লেখযোগ্যI আমাদের মত ঘনবসতিপূর্ণ দেশে সামাজিক বা শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করা অধিক জনসংখ্যা, স্পেস ও ফ্যাসিলিটিজ এর কারণে একটু কষ্টকর। তবে সদিচ্ছা ও স্থির সংকল্প থাকলে এটা সহজেই অর্জন করা সম্ভব। আর এটা অর্জনের লক্ষ্যে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মত নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে :
১/ বেশি ভিড় থাকলে, সেদিকে যাওয়া পরিহার করতে হবে; অন্যদের থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে।
২/ যে সব দোকানে প্রয়োজনীয় করোনা প্রতিরোধ ব্যবস্থা , যেমন, হাত ধোয়া বা জীবাণুমুক্তকরণ ব্যবস্থা,
সেলসমানদের মুখে মাস্ক না থাকা দেখবেন, সেসব দোকোনে প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকুন।
৩/ কোনো দোকানে কোনোরূপ ফ্রি স্যাম্পল, ডিসপ্লেতে রাখা খাদ্য দ্রব্যাদি গ্রহণ করবেন না।
৪/ টয়লেট, ট্রায়াল রুম একান্ত প্রয়োজন না হলে ব্যবহার করবেন না।
৫/ কেনার আগে জিনিস-পত্র বেশি ঘাটা-ঘাঁটি বা ছোঁবেন না।
৬/ বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিক্রিত মালামাল বদলানোর ব্যবস্থা স্থগিত করা প্রয়োজন; ভেবেচিন্তে নিশ্চিত হয়ে জিনিসপত্র কিনুন I
৭/বাজারে যাওয়ার পূর্বে একটি লিস্ট করুন আর লিস্ট অনুযায়ী ছক মনে এঁকে দোকানগুলোতে প্রবেশ করুন।
৮/ সম্ভব হলে সাথে নিজেস্ব ছোট স্যানিটাইজার বোতল রাখুন এবং প্রয়োজনে ব্যাবহার করুন।
৯/ বাইরে সব সময় মাস্ক ব্যবহার করুন।
আমরা সবাই সচেতন থাকলে, করোনা ভাইরাস আমাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না ; লক ডাউন করার ও আর প্রয়োজন হবে না ।
(লেখক : অধ্যাপক, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা। )