ঢাবি ক্যাম্পাসে ঔদ্ধত্বপূর্ণ আচরণ: ইশা ছাত্রআ-এর নিন্দা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সকল নিয়ম-নীতি মেনে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন অংশ নিয়েছে। ছাত্রলীগ, ছাত্রদল ও বামদের অযৌক্তিক তীব্র বাধার মুখেও যৌক্তিকভাবে নির্বাচনে অংশ নেয় ইশা ছাত্র আন্দোলন। প্রচারণা শুরুরদিক থেকেই আচরণবিধি মান্য করে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছিল ইশা ছাত্র আন্দোলন।
০৯ মার্চ ’১৯ ইং শনিবার প্রচারণার শেষ দিনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ঢাবির মেধাবী ছাত্র শেখ ফজলুল করীম মারুফ এর নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে প্রচারণা চালাচ্ছিল ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন সমর্থিত আতায়ে রাব্বী-মাহমুদ-শরীয়াত প্যানেল। প্রক্টর অফিসের সম্মূখ দিয়ে প্রচারপত্র বিতরণের সময় বহিরাগত বাম নেত্রী ডা. মণীষা চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বাম সংগঠনের কর্মীরা কুরুচিপূর্ণ শ্লোগান ও ইশা ছাত্র আন্দোলন-এর নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্য করে এলোপাথারি বাক্য ছোড়ে। যা ক্যাম্পাসে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ ফজলুল করীম মারুফ ও সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ মুস্তাকিম বিল্লাহ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থী এবং আদর্শিক রাজনীতি করা কোন সংগঠনের কাছ থেকে এই ধরনের আচরণ আমাদের আশাহত করেছে। আমরা মনে করি, ক্যাম্পাস হলো জ্ঞান চর্চার কেন্দ্র। এখানে পারস্পরিক বোঝাপড়া হবে জ্ঞানের মাধ্যমে। এবং পরস্পরের মোকাবিলাও হবে জ্ঞানের মাধ্যমে, বাম ধারার মতো আদর্শ ভিত্তিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা যখন পেশি শক্তি নির্ভর সংগঠনগুলোর মতো আচরণ করে, তখন আমরা দুঃখ ও ভারাক্রান্ত হই।
নেতৃদ্বয় বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ রাজনীতি করতে চাই, কাউকে প্রতিহত বা প্রতিরোধ করার মতো সহিংস রাজনীতি আমরা সর্বদাই এড়িয়ে চলি।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, আমরা ক্যাম্পাসে সহিংস রাজনীতির চর্চা হতে দিতে পারিনা। তাই আসুন আমরা শান্তিপ্রিয় সকল ছাত্র সংগঠন ঐক্যবদ্ধ হয়ে ক্যাম্পাসে সহাবস্থানপূর্ণ রাজনীতির পরিবেশ সৃষ্টি করি।
বার্তা প্রেরক – কে এম শরীয়াতুল্লাহ, কেন্দ্রীয় প্রচার ও যোগাযোগ সম্পাদক