সর্বদলীয় করোনা মোকাবেলা কমিটি গঠনের প্রস্তাব -মুসলিম লীগ

বাংলাদেশ মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দ সরকারের নিকট সকল ভেদাভেদ ভুলে সর্বদলীয় করোনা মোকাবেলা কমিটি গঠনের জোর দাবী জানান।
সরকারের নিকট করোনা মোকাবেলায় সকল ভেদাভেদ ভুলে দেশের প্রতিটি পর্যায়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার জন্য সর্বদলীয় করোনা প্রতিরোধ কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দ। এক বিবৃতির মাধ্যমে দলের সভাপতি এ্যাড. বদরুদ্দোজা সুজা, মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদার, স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, অতি মহাসচিব আকবর হোসেন পাঠান ও কাজী এ.এ কাফী এ কথা বলেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা একটি বৈশ্বিক বিপর্যয় যার গভীরতা ও ব্যাপ্তি পরিমাপ করা এখনো সম্ভবপর হয়নি। আমাদের অপ্রতুল চিকিৎসা সুবিধা, পরীক্ষার অনুপাতে আক্রান্ত ও মৃত্যুহারের অধিকতা, অপর্যাপ্ত সামগ্রীর কারণে চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের সদস্যদের আক্রান্ত হওয়া ও মৃত্যুবরণ করা, অসচেতন নাগরিকদের কারণে লক-ডাউন পুরোপুরি ফলপ্রসূ না হওয়া ইত্যাদি এক ভয়াবহ বিপর্যয়ের প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে যা জনবহুল ও নিম্ন আয়ের দেশের সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় অস্বাভাবিকও নয়। এরকম অবস্থায় নিজ নিজ দেশে করোনার ভয়াবহ বিস্তার সত্বেও, প্রবল ঝড়ের আগাম পূর্বাভাসে ঊর্ধ্বশ্বাসে দ্বীপ ছেড়ে যাওয়ার মত করে বিদেশীদের দেশ ত্যাগের ঘটনা অজানা বিপর্যয়ের শঙ্কায় জনমনে ভয়াবহ ভীতির সঞ্চার করছে। আর নিম্নমধ্যবিত্ত অসহায় মানুষদের বঞ্চিত করে কিছু অযোগ্য জনপ্রতিনিধির ত্রাণ চুরি ও অব্যবস্থাপনার ন্যক্কারজনক ঘটনা থেকে সৃষ্ট দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভুখা সমাবেশ দুর্ভিক্ষের শঙ্কা জাগিয়ে তুলেছ। ত্রাণ নিয়ে এসকল বর্বরদের এখনি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না করা হলে দুর্বিত্তরূপী কিছু জনপ্রতিনিধি সৃষ্ট একটি কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ জাতিকে মোকাবেলা করতে হতে পারে। মড়ার উপর খাড়ার ঘাঁ এর মত ডেঙ্গু রোগের মৌসুম শুরু হচ্ছে। এ বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনসহ কর্তৃপক্ষের তৎপরতা বাড়াতে হবে। সব মিলিয়ে গোটা জাতি আজ এক ভয়াবহ বিপর্যয়ের অজানা আশঙ্কায় শঙ্কিত।

BML secretary Kazi Abul Khair

বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিশেষজ্ঞ ও বিশিষ্ট জনেরা বারবার করোনা পরিস্থিতি ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলার জন্য একটি সর্বদলীয় জাতীয় কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিলেও সরকার একক ভাবে তা মোকাবেলার সিদ্ধান্তে এখনো অনড়। এরকম পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গ সংগঠন গুলোকে ত্রাণ কমিটি গঠনের নির্দেশনা প্রদান জাতিকে শুধু হতবাকই করেনি বরং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উদারতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। করোনার মত বড় বিপর্যয় একক ভাবে মোকাবেলা করতে সক্ষম হলে সরকার ও ক্ষমতাসীন দল যেমন একক প্রশংসার দাবীদার হবে তেমনি এ থেকে যে কোন রাষ্ট্রীয় ও জাতিয় বিপর্যয় সৃষ্টি হলে তার দায়ভারও তাদেরকে এককভাবেই বহন করতে হবে। সর্বদলীয় করোনা মোকাবেলা কমিটি গঠিত হলে একদিকে যেমন সরকারের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি করে স্বেচ্ছাসেবকদের বিশাল এক বাহিনী প্রশাসনের সহযোগী হিসাবে কাজ করে বিপর্যয় মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে অপরদিকে ত্রাণের সুষম বণ্টন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করে গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে অনুপ্রাণিত করবে। ঘোরতর এ আযাব থেকে মুক্তি লাভের জন্য ধর্মপ্রান মানুষদের পরম করুণাময় আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনার আহ্বান জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ প্রেরক, -কাজী এ.এ কাফী, অতিঃ মহাসচিব ০১৮১৭০১৪৪৪০